নূপুরের ধ্বনি ও অন্যান্য




গোপন সোহাগ
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

নদীর জলে বাঁধ আছে
চোখের জলে নদী
ভালোবাসার দুঃখ আছে
সত্যি ভা-লো-বা-সো যদি।
চাঁদের বুকে কলঙ্ক দাগ
মিথ্যে সে তো নয়
পূর্ণিমা চাঁদ জ্যোৎস্না ছড়ায়
অমানিশি করে জয়।
সুখ দুঃখ দুটি কথা
ছন্দে দোলায় মন
ভালোবাসায় পূর্ণ জোয়ার
থাকবে না আজীবন।
চাঁদ ডুবে যায় শেষ প্রহরে
পুবের আকাশে ভোর
হৃদয় তোমার ছিলই খোলা
দাও নি তুমি দোর।
মন যমুনায় ঢেউ লেগেছে
সুরে বাজাও বেহাগ
ঘুমের ঘোরে হয়েছে চুরি
তোমার গোপন সোহাগ।



নূপুরের ধ্বনি
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

শ্রাবণের মেঘ হেঁটে চলে যায়
উদাসী দুপুর মন
হৃদয়ে লেখা আধো পরিচয়
ক্লান্ত সে কোন জন।
স্রোতের বাঁকে ডুবে যায় চর
গোপন এক অভিমান
প্রেমিকার হাতে লাজুক দুপুর
ভালোবাসা নয় ভান।
ওষ্ঠে তোমার আগুনের ধারা
নিবিড় ব্যাকুল চাওয়া
নূপুরের ধ্বনি হৃদয়ে বাজে
সে এক পরম পাওয়া।
শঙ্খচিলের ডানায় আজও
রোদ্দুর খেলা করে -
ভালোবাসা এক পারিজাত ফুল
দু’হাতে নিও তা ভরে।



বালুচর
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

জ্যোৎস্নার রূপমুগ্ধ আলোয় ভেসে যায় বালুচর
ফালি ফালি মেঘ অক্ষর মালার মতো
দিশাহীন উড়ে বেড়ায় দূরের আকাশে।
সান্ধ্য পাখিদের ঘরে ফেরার তাড়া নেই
জলপ্রপাতের অবিরাম শব্দে নীরবতা ভেঙে যায়
আদিম যুগের নারীর উলঙ্গ সভ্যতা তুমি নও।
আটপৌরে শাড়ীতে লুকিয়ে রেখেছো গোপন উৎসব
বালুচরে শুয়ে আছে তোমার জ্যন্ত শব ...
তবুও কী আগুনের হলাহল শরীর জুড়ে।
আগুনের ভিতরে হাঁটছি মধ্যরাত অবধি
বৃষ্টির এখন উপবাস চলছে –
পূর্ণ চাঁদের আলোয় হেঁটেছি বালুচরে।
রাত কেটে যায়, চাঁদ ডুবে যায় ...
খেলা শুধু খেলা, বালুচর জুড়ে কাদা।

No comments:

Post a Comment