দুর্ভাগা ও অন্যান্য || টি এইচ বকুল




দূর্ভাগা



ঝরে গেছে স্বপ্ন গুলো
গাছের পাতার মত,
শুকনো ডালে বসে আছে
শকুন গুলো যত।
প্রহর গুনে প্রতিক্ষার-ই
সুখ গুলো যে খেতে,
তীক্ষ্ম নজর রেখেছে যে
আমার উপর পেতে।
একটি দুটি সুখের ফাগুন
আসেও যদি নীড়ে,
শনির শকুন জটলা বেঁধে
রাখে তারে ঘিরে।
বুঝে গেছি আলোর ভিরেও
আঁধার কেন আমি,
আমার সময় দিয়ে ছিলাম
ভেবে তারে দামি।
রসও গেল কষও গেল
রইলো শুকনো কাঠ,
বুকের ভিতর বসত এখন
শ্মশান পুড়ির ঘাট।
আসা যাওয়া চিতার ধোঁয়া
বাতাস ভারি হয়ে,
দৃষ্টি জুড়ে মেঘলা আকাশ
রবির আলো ক্ষয়ে।
তাই, রাত দুপুরে ঝিঁ ঝিঁ হয়ে
হৃদয় কেঁদে মরে,
দুচোখ হতে এখন শুধু
অশ্রু ফোঁটা ঝরে।।


পরিচয়হীন



এখনো অনেক শিশু
পথে করে বাস,
বিষে ভরা বায়ুতেই
নিয়ে তারা শ্বাস।
রোদ ঝড় বৃষ্টিতে
কষ্টের বানে,
কঁচি দেহ ভাঙ্গে তার
জীবিকার টানে।
অনাহাড়ী কাকে বলে
তারাই জানে ভালো,
শুধু জলে পেট ভরা
নিভে তার আলো।
তিলে তিলে বড় হয়
ভালোবাসা ছাড়া,
মা-বাবা কাকে বলে
জানেনা তো তারা।
জানে শুধু এতো টুকু
লড়তে হবে,
এ দেহে যত দিন
প্রাণটা রবে।
জীবন যুদ্ধে তাই
লড়ে প্রতিক্ষণ,
এক মুঠো অন্নের
বড় প্রয়োজন।
পৌষের রাত কাটে
কুয়াশায় মেখে,
দুটি চোখে হতাশার
ছবি যায় এঁকে।
এভাবেই চলে য়ায়
জীবনের বেলা,
অনাদরে ভেসে যায়
ভাগ্যের ভেলা।
পথে শুরু পথেই শেষ
কেউ নেই আপন,
আঁধারের খোলা আকাশ
তার যে ভূবন।।

No comments:

Post a Comment